১। ভৌগলিক অবস্থানঃ- সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলাধীন সুজলা-সুফলা, শষ্য-শ্যামলায় ভরপুর বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়ন। ইহার পূর্বে মোহনপুর ইউনিয়ন, পশ্চিমে ভাঙ্গুড়া উপজেলা, উত্তরে একই উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়ন ও দক্ষিণে ফরিদপুর উপজেলা। ইহার আয়তন ১৪.১৪ বর্গমাইল।
২। জনসংখ্যাঃ- শিক্ষার হার- ৮০% । শতকরা ৯৫% মুসলমান, ৪% হিন্দু এবং ১% অন্যান্য ধর্মাবম্বী।
৩। শিক্ষা ও সংস্কৃতিঃ- অত্র ইউনিয়নে শিক্ষার হার শতকরা ৭০% ভাগ। এখানে ১টি মহাবিদ্যালয়, ৩টি উচ্চ বিদ্যালয়, ১০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ০৬টি রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি কমিউনিটি বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে।
৪। যোগাযোগঃ- বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়ন একটি নিম্নাঞ্চল এলাকা। সামান্য বর্ষাতেই সমস্ত এলাকা প্লাবিত হয়ে থাকে, যার ফলে অভ্যান্তরীন যোগাযোগ তেমন ভাল না। তবে বর্ষা মৌসুমে নৌকা যোগে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করা যায়। এখানে ২০ কিলোমিটার পাকা রাস্তা এবং ৫০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা আছে।
৫। কৃষিঃ- বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের শতকরা ৮০% লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে প্রচুর পরিমানে ধান, গম, সরিষা, আলু এবং সবজীর চাষ-আবাদ করা হয়, যা অত্র এলাকার চাহিদা পূরণের পরও দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানী করা যায়।
৬। নদ-নদী, পুকুর ও জলাশয়ঃ- বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মাঝামাঝি ২টি নদী প্রবাহিত হয়েছে। একটি গোহালা নদী ও অপরটি কোমলা বানিয়াধান নদী, ইহাছাড়া অনেক ব্যক্তিগত পুকুর ও খাস পুকুর আছে। এখানে প্রচুর পরিমানে মাছের চাষ করা হয়।
৭। গবাদী পশুঃ- বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নে দেশী-বিদাশী গবাদী পশু পালন করা হয়। যেমন- উন্নতজাতের গাভী, হাঁস-মুরগী, ছাগল-ভেড়া পালন করা হয়। উন্নত জাতের গাভীর ফার্ম থেকে প্রচুর দুগ্ধ উৎপাদন হয় । ।
৮। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাঃ- বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার মাঠকর্মীগণ সার্বক্ষনিক স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত আছে। ইহাছাড়া বিভিন্ন বে-সরকারী সংস্থা স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত। অত্র ইউনিয়নে একটি হাসপাতাল ও ওয়ার্ড ভিত্তিক ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। যাহাদ্বারা বিভিন্ন বয়সী মেয়েদেরসহ সকল শ্রেণীর মানুষকে চিকিৎসা করা হয়।
৯। প্রখ্যাত ব্যক্তিবর্গঃ- বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নে অনেক সুনামধন্য লোকের জন্ম।
তথ্য প্রদানেঃ=
মোঃ শরিফুল ইসলাম রিন্টু
উদ্যোক্তা ও পরিচালক
মোহনপুর ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র
উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস